২৬ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বদলি নীতিমালায় বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন থেকে অনলাইনে বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং পুরো প্রক্রিয়াটি হবে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, চাকরিতে দুই বছর পূর্ণ হলেই শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি প্রতিষ্ঠানে বদলির ইচ্ছা প্রকাশ করে আবেদন করতে পারবেন। বদলির পর নতুন কর্মস্থলে কমপক্ষে দুই বছর কাজ করার পর পুনরায় আবেদন করা যাবে। কর্মজীবনে সর্বোচ্চ তিনবার বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে দুইজন শিক্ষক বদলির সুযোগ পাবেন। শূন্য পদে একাধিক আবেদন পেলে নারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থলকেও বিবেচনায় নিতে হবে।
বদলি কার্যক্রমের সময়সূচি অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ, ১ থেকে ৩০ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন, ৩০ নভেম্বর বদলির আদেশ এবং ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান সম্পন্ন করতে হবে।
সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষক ইনডেক্স নম্বর আগের প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে স্থানান্তরিত হবে। জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধাও আগের মতোই বজায় থাকবে।
ড. খান মঈনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল জানান, সরকারি হাইস্কুলে ডায়নামিক ওয়েবসাইট এবং বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র সফটওয়্যার জুলাইতেই চালু হবে। তিনি সব শিক্ষককে তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেন।